স্পোর্টস ডেস্ক: বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক এমিলিয়েনো মার্টিনেজ এসেছেন বাংলাদেশে। তার সঙ্গে এসেছেন কয়েকজন ব্যক্তিগত স্টাফও। উঠেছেন গুলশানের একটি অভিজাত হোটেলে। আর তাকে একনজর দেখতে গুলশানের সেই হোটেলের পেছনের অংশে অবস্থান নিয়েছে ভক্তরা।
যদিও আর্জেন্টিনা, মার্টিনেজের ভক্ত কিংবা সাধারণ ক্রীড়ামোদীরা তাকে দেখার সুযোগ সেভাবে পাবেন না বললেই চলে। তবুও তার গাড়িবহর বের হওয়ার সময় যদি একনজর দেখা যায় সেই আশায় মার্টিনেজ অবস্থান করা হোটেলের সামনে ভক্তরা ভিড় জমিয়েছেন।
সোমবার (৩ জুলাই) ভোর ৫টা ১০মিনিটে আর্জেন্টিনা থেকে ঢাকায় এসেছেন মার্টিনেজ। কয়েক হাজার মাইল পথ পাড়ি দিতে ট্রানজিটও ছিল ফ্লাইটে। নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডাম থেকে প্রায় দশ ঘণ্টা বিমান ভ্রমণ করে আজ ভোরে ঢাকায় নামেন মার্টিনেজ। সব মিলিয়ে তার ভ্রমণ ৩০ ঘণ্টার বেশি।
বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা সেরে হোটেলের পথে মার্টিনেজ ও তার সফরসঙ্গীরা। কয়েক ঘণ্টা বিশ্রাম নিয়ে উত্তর বাড্ডার এক বাণিজ্যিক অফিস পরিদর্শন করবেন তারা। এরাই মূলত মার্টিনেজকে বাংলাদেশে এনেছেন।
যদিও এ অনুষ্ঠানে গণমাধ্যমের প্রবেশাধিকার নেই। নিজেরাই প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান করে মিডিয়ায় সরবরাহ করবেন আয়োজকরা। সেখানে ঘণ্টাখানেক অবস্থান করে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গণভবনে যাবেন মার্টিনেজ। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে বিমানবন্দরে যাবেন। সেখান থেকে বিকেল সাড়ে চারটার পর কলকাতার উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করার কথা রয়েছে মার্টিনেজের।
গুলশানে যে হোটেলে মার্টিনেজ অবস্থান করছেন তার ঠিক বাহিরে পেছনের রাস্তায় অপেক্ষায় আছেন তার এবং আর্জেন্টিনার ভক্তরা। তাদের মধ্যে একজন শিহাবুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমি ছোটবেলা থেকে আর্জেন্টিনা ফুটবল দলের ভক্ত। এমন কোনো খেলে নেই যেটা আমি দেখিনি টিভিতে। সব প্লেয়ারের প্রোফাইল আমি জানি। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন এই দলের গোলরক্ষক এমিলিয়েনো মার্টিনেজ এসেছেন বাংলাদেশে, উঠেছেন গুলশানের এই হোটেলে। তাই এক নজর তাকে দেখতে এখানে এসেছি। এখানে অনেক নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে তাই সাধারণ মানুষের এই খেলোয়ারকে দেখার সুযোগ নেই। তাই বাহিরে অপেক্ষা করছি যদি এক নজর দেখা যায়।